চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন হয়েছে শনিবার (২৮ অক্টোবর)। আজ (রোববার) সকাল ৬টা থেকে টানেল দিয়ে জনসাধারণের গাড়ি চলাচল শুরু হয়। একই সঙ্গে সকাল ৬টা থেকে দিনব্যাপী চলছে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হরতালের মধ্যেও যথাসময়ে টানেল দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। এদিন সকালে জুয়েল রানা নামে একজন প্রথম টোল পরিশোধ করে টানেলের আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা প্রান্তে যান। এরপর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ পর্যন্ত টানেল দিয়ে গাড়ি পারাপার হয়েছে ১ হাজার ১৬১ গাড়ি। এসব গাড়ি থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৫ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এর আগে শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দোয়া ও মোনাজাত শেষে প্রধানমন্ত্রী গাড়িবহর টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারা প্রান্তে রওনা দেয়। বেলা ১২ টা ১ মিনিটে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টানেলে টোল প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। তার কাছ থেকে টোল গ্রহণ করেন ঝুমুর আক্তার এক নারী। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের গাড়িসহ বহরে থাকা ২১টির জন্য ৪ হাজার ২০০ টাকা টোল প্রদান করেন।

সেতু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, টানেলে ১২ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে প্রাইভেটকার ও জিপকে দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসকে ২৫০ টাকা, পিকআপকে ২০০ টাকা, ৩১ বা তার চেয়ে কম সিটের বাসকে ৩০০ টাকা এবং ৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসনের বাসকে দিতে হয় ৪০০ টাকা। আবার ৫ টন ধারণক্ষমতার ট্রাক থেকে টানেলে টোল নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা এবং ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাককে ৬০০ টাকা টোল দিতে হয়।

এছাড়া ৩ এক্সেল পর্যন্ত ট্রাক চলাচলে টানেলে টোল দিতে হচ্ছে ৮০০ টাকা  এবং ৪ এক্সেল পর্যন্ত ট্রেইলারকে ১ হাজার টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য দিতে ২০০ টাকা করে দিতে হয়।

টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে চার হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছে চীন সরকার। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ হারে ২০ বছর মেয়াদি এ ঋণ দিয়েছে। চীনের কমিউনিকেশন ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) টানেল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

এমআর/এসকেডি