হরতাল ঘিরে সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদার
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর আগামীকাল সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের জেরে শনিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এজন্য প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে রাত থেকে সচিবালয়ে-২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকাল থেকেই আমরা তৎপর ছিলাম। হরতালকে কেন্দ্র করে রাত থেকে এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুনের ঘটনার পর আমরা এখানে আগের চেয়ে আরও বেশি তৎপর রয়েছি।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কাকরাইল মোড় দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যাওয়ার সময় বিএনপি কর্মীরা ধাওয়া করে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আশ্রয় নিতে গিয়ে হামলা চালায়।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশ বলছে, বিএনপি নেতাকর্মীরাই হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন এবং রাজধানীর অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে আজ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলছিল।
এসএইচআর/এসকেডি