ঢাকায় যে রাজনৈতিক সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে তার নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শ‌নিবার রাতে এক বিবৃতিতে এটি জ‌ানায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।

দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় যে রাজনৈতিক সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তার নিন্দা জানায়। একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মী হত্যা এবং একটি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও একইভাবে অগ্রহণযোগ্য।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে আমরা সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করব। মার্কিন দূতাবাস সব পক্ষকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে দেশটির অব্যাহত নজরদারির বিষয়টি স্পষ্ট করেন।

ভিসা নীতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।

পরে ভিসা বিধিনিষেধ কার্যকরেরও ঘোষণা এসেছে। কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে তা প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের সদস্যরা বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। পরে নয়াপল্টন এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে আজ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

এনআই/এসএসএইচ