ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি নিলেও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ হাসপাতাল এবং রাষ্ট্রীয় অনেক ভবনে হামলা চালিয়েছে তারা। পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষা করার জন্য পাল্টা অ্যাকশনে গিয়েছে। 

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে পল্টনের নাইটেঙ্গেল মোড় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী কায়দায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এখনও বিএনপির হরতাল কর্মসূচির বিষয়ে জানি না। যদি তারা এ ধরনের কর্মসূচি দিয়ে থাকে এবং হরতালের নামে যদি কেউ নৈরাজ্য করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন ও পুরানা পল্টন মোড় এবং আশাপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে আজ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলছিল।

এনএম/এসকেডি