রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। দুপক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।

এসময় ঢাকা টাইমসের সিরাজুম সালেকীন, দৈনিক কালবেলার রাফসান জানি, নিউ এইজের আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক শাকিল, গ্রিন টিভির বিশেষ প্রতিনিধি রুদ্র সাইফুল্লাহ ও ক্যামেরাম্যান আরজু, ব্রেকিং নিউজের কাজী ইহসান বিন দিদার, আহসান হাবিব সবুজ, ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এস এ মাসুম, ইত্তেফাকের আবু নাসের, বাংলানিউজের জাফর আহমেদ, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক মারুফসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। 

এদের মধ্যে সিরাজুম সালেকীনকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়া হয়েছে। রাফসান জানিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। অন্যান্য আহত সাংবাদিকরা আশেপাশের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলে জানা গেছে।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন ও পুরানা পল্টন মোড় এবং আশাপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে আজ ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত ছিল। বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা হিসেবে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সেই সমাবেশ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলছিল।

এআর/এমএসএ/এসএম