করোনাভাইরাস
তিন দিনে করোনায় মৃতের তালিকায় আরও ৬ চিকিৎসক
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির দিনদিন অবনতি ঘটছে। হাসপাতালে আসা জনস্রোতের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে আশঙ্কাজনকভাবে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। গত তিন দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ছয় চিকিৎসকের নাম।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য মতে, করোনাভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত (১০ এপ্রিল) দুই হাজার ৯০৮ জন চিকিৎসক, এক হাজার ৯৯৬ জন নার্স এবং তিন হাজার ২৯৩ জন অন্যান্য স্টাফসহ মোট আট হাজার ১৯৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকাতেই সর্বোচ্চ সংখ্যক চিকিৎসক-নার্স রয়েছেন। এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ১৩৭ জন চিকিৎসক এবং তিনজন ডেন্টাল সার্জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
করোনায় দেশে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ১৫ এপ্রিল। ওই দিন মারা গিয়েছিলেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন আহমদ (৪৭)। ডা. মঈন উদ্দীন আহমেদ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছিলেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে চিকিৎসক সমাজসহ সব পেশাজীবী শ্রেণী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
চিকিৎসকদের মৃত্যুর তালিকায় যোগ হওয়া সর্বশেষ নামটি হচ্ছে ডা. গাজী সাইফুল আলম চৌধুরী। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। শনিবার (১০ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
অল্প সময়ের ব্যবধানে এভাবে এত চিকিৎসকের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসির অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, করোনায় আমরা অনেক বিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ চিকিৎসককে হারিয়েছি। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি হতে অনেক সময় ও শ্রমের প্রয়োজন হয়। তারা দেশের সম্পদ। কষ্টের মধ্যেও গর্বের বিষয় হচ্ছে, জীবনের ঝুঁকি রয়েছে জেনেও সম্মুখসারির এই যোদ্ধারা পিছপা হননি, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা সাহানা বানু ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে সংক্রমণের হার পূর্বের তুলনায় এখন অনেক বেশি। কারণ হলো, কোভিড ইউনিটে ডিউটি শেষে স্বাভাবিকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম থাকলেও আমাদের চিকিৎসক-নার্সদের এক সপ্তাহ বাসায় থাকার পর আবারও ডিউটিতে যেতে হচ্ছে। কারণ তাদের জায়গায় কাজ করার মতো পর্যাপ্ত জনবল নেই। কারণ স্বাস্থ্যকর্মীরা এতই আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন, তাদের স্থলে ডিউটি করার জন্য আমরা কাউকে পাচ্ছি না। বাধ্য হয়েই স্বাভাবিক কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার আগেই অন্যদের ডাকতে হচ্ছে।
সাহানা বানু বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট আমাদের চিকিৎসকদের জন্য বেশি ভালনারেবল ও রিস্কি হয়ে যাচ্ছে। অসংখ্য চিকিৎসক সংক্রমিত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে একটা সময়ে স্বাস্থ্য খাত তো পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। সুতরাং চিকিৎসকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে, নতুন করে নিয়োগ দিয়ে সংখ্যা বাড়াতে হবে। যারা কোভিড ওয়ার্ডে ডিউটি করছেন বা সরাসরি ল্যাবে কাজ করছেন, তাদের যেন সংক্রমণটা কম হয়, সে লক্ষ্যে গ্যাপ দিয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে এসে যেন ডিউটি করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেলে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভাইরোলজিস্ট নেই, আমাদের বেশ কয়েকজন ভাইরোলজিস্ট আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় আমরা কোনোরকমভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এভাবে তো চলতে পারে না। আমি অনেকবার বলেছি ঢাকা মেডিকেলে পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সে ভাইরোলজির স্টুডেন্ট নেওয়ার জন্য। সরকারের কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার পরও কোথায় যে বিষয়টি আটকে আছে, বুঝতে পারছি না। এ বছরের মধ্যে যদি নিতে না পারি, তাহলে খুবই সিরিয়াস অবস্থার মধ্যে পড়ে যাব। কারণ আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক ভাইরোলজিস্ট নেই।
তিন দিনে না ফেরার দেশে ছয় চিকিৎসক
গত তিনদিনে ছয় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার (১০ এপ্রিল) মারা গেছেন দুজন। ডা. গাজী সাইফুল আলম চৌধুরী ছাড়াও এদিন মারা যান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোজাদ্দেদ মেহেদী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।
এর আগে শুক্রবার করোনাভাইরাসে দুজন চিকিৎসক মারা যান। তাদের মধ্যে একজন গরিবের চিকিৎসক খ্যাত আব্দুল লতিফ। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার দক্ষিণ পাড় এলাকার শিকলবাহায়। গতকাল মারা যাওয়া অন্য চিকিৎসক হলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. মোহাম্মদ মুনীর।
বৃহস্পতিবার আরও দুই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের মধ্যে একজন হলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. ওবায়দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় মারা যান তিনি। অধ্যাপক ডা. ওবায়দুল্লাহ রামেকের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এদিন মারা যাওয়া আরেকজন হলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. মো. শওকত আলী।
স্মরণীয় হয়ে থাকবেন যে চিকিৎসকরা
করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম চিকিৎসক হিসেবে গত ১৫ এপ্রিল মারা যান সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন। এরপর একে একে মৃত্যুবরণ করেন আরও ১২৪ জন চিকিৎসক। তারা হলেন— অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. মো. মনিরুজ্জামান, ডা. আনিসুর রহমান, মেজর (অব.) ডা. আবুল মোকারিম মো. মোহসিন উদ্দিন, ডা. মো. আজিজুর রহমান রাজু, ডা. এম এ মতিন, ডা. কাজী দিলরুবা, ডা. এস এম জাফর হোসাইন, ডা. আমিনা খান, ডা. আবদুর রহমান।
ডা. মো. মোশাররফ হোসেন, ডা. এ এফ এম সাইদুল ইসলাম, ডা. ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ বাবলু, ডা. মনজুর রশিদ চৌধুরী, ডা. এ এস এম এহসানুল করিম, অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন, ডা. কে এম ওয়াহিদুল হক, অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান, ডা. মুহিদুল হাসান, অধ্যাপক ডা. এন আই খান, অধ্যাপক ডা. এস এম এ গোলাম কিবরিয়া, ডা. এহসানুল কবির চৌধুরী, ডা. আবুল কাশেম খান, ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন, ডা. রাজিয়া সুলতানা।
ডা. সাখাওয়াত হোসেন, ডা. আবু বকর সিদ্দিক, ডা. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ডা. জালিলুর রহমান, ডা. তানজিলা রহমান, অধ্যাপক ডা. গাজী জহিরুল হাসান, ডা. মাহমুদ মনোয়ার, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, ডা. আরিফ হাসান, ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ডা. সাদেকুর রহমান, ডা. তৌফিকুন নেছা, ডা. আ ন ম আবদুল হাই, অধ্যাপক ডা. এ কে এম মুজিবুর রহমান, ডা. মো. আশারুজ্জামান।
ডা. মো. শাহ আবদুল আহাদ, ডা. মো. নুরুল হক, ডা. মো. রফিকুল হায়দার লিটন, ডা. মো. এমদাদুল্লাহ খান, ডা. মো. শফিক আহমেদ, ডা. মুজিবুর রহমান রিপন, ডা. মো. বজলুর রহমান, ডা. সুনীল কুমার সরকার, ডা. ললিত কুমার দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আলী আজগর, ডা. উপেন্দ্র নাথ পাল, ডা. মো. ইউনুস আলী খান, ডা. মো. সমিরুল ইসলাম বাবু, ডা. এস এম সাইফুল ইসলাম, ডা. ফিরোজ বানু মিনু।
ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডা. মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. গোলাপ শংকর দে, অধ্যাপক ডা. গোলাম সারোয়ার, ডা. মো. রুহুল আমিন, অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব, অধ্যাপক ডা. কে এম মুনতাকিম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুল আনোয়ার, ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ডা. সুলতান লতিফা জামান আইরিন, ডা. এস এম নুর উদ্দিন আবু আর বাকী রুমি, ডা. আবদুল হামিদ, ডা. কোহেল করিম (কুহু), অধ্যাপক ডা. আবুল হোসাইন খান চৌধুরী, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহীদুল্লাহ।
ডা. বদিউজ্জামান হীরা, অধ্যাপক ডা. টি আই এম আবদুল্লাহ আল ফারুক, ডা. নারগিস মুর্শিদ বানু, ডা. মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (তাসলিম), ডা. এফ বি এম আবদুল লতিফ, ডা. মো. গোলাম মোস্তাফা, ডা. রেজোয়ানুল বারী শামীম, অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাফা হোসেন আনসারী, অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল হক খান, ডা. আফতাম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মোহা. আবদুর রহমান, ডা. সৈয়দ আখতার হোসেন, ডা. এ বি এম সিদ্দিকুল ইসলাম, ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আবদুল মতিন পাটোয়ারী।
ডা. বি এম ফারুক, ডা. শামসুন নাহার বেলা, অধ্যাপক ডা. এ এফ এম সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবীর, অধ্যাপক ডা. সুরাইয়া রওশন আরা বেগম, ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী, ডা. মো. ওবায়দুল রহমান, ডা. মো. হেদায়েতুল ইসলাম, ডা. মুহাম্মদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. মির্জা আজহারুল ইসলাম, ডা. কাউসার আহমদ মজুমদার, ডা. রমেশ চন্দ্র নাথ, ডা. মো. খলিল উদ্দিন, ডা. এ কে এম মাসুদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সেলিম আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. এম এ জলিল, ডা. সৈয়দ সাজ্জাদ কামাল হিরু, ডা. নাসির উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আলী আকবর বিশ্বাস, ডা. এ বি এম মাকসুদুল সালেহীন, ডা. মো. রেজাউর রহমান প্রধান, ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. আ জ ম শফিউল আলম শাহ, ডা. বশরা সারওয়ার, ডা. মুজিবুর রহমান খান হীরা, ডা. এ কে এম শামসুল হক, ডা. আইরিন পারভীন, ডা. সাইদুল ইসলাম, ডা. রাশেদ সারওয়ার আলম রনি, অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল কাদির খান।
ডা. গাজী শফিকুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আবদুল, মুকিত সরকার, ডা. মো. হাসান মুরাদ, ডা. মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, ডা. মো. আনোয়ারুল করিম বাবুল, ডা. শেখ সায়েম, অধ্যাপক ডা. এ কে এম শামসুল হক, অধ্যাপক ডা. লুৎফর কাদের লেনিন, ডা. জীবেশ কুমার প্রামাণিক, ডা. মো. আবদুর রশিদ, ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, ডা. কাজী মোহাম্মদ নাসের আহমেদ ও অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান খন্দকার, অধ্যাপক ডা. নাজমুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম সুলতান উল আলম, ডা. মো. আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক ডা. নূর-ই-আলম পাটোয়ারী, অধ্যাপক ডা. বদরুল হক টিটো, ডা. নূরুল হাসান শোয়েব, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, ডা. আব্দুল লতিফ, অধ্যাপক ডা. গাজী সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন।
এছাড়া গত বছরের ১৪ জুন ডেন্টাল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম এবং ২৯ জুন ডা. সৈয়দ তমিজুল আহসান রতন এবং এ বছরের ৫ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অবসর) ডা. আবুল কাশেম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩ জন। সবমিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৬৬১ জনের।
টিআই/আরএইচ