জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথে নিজেদের শক্তির জানান দিতে আগামীকাল (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দিয়েছে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি। এদিন জামায়াতে ইসলামীও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের গণতন্ত্র বিরোধী আখ্যা দিয়ে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি এমন কর্মসূচির ঘিরে দূরপাল্লার যাত্রায় বেড়েছে শঙ্কা ও আতঙ্ক।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সরেজমিনে মহাখালী বাস টার্মিনালে দেখা যায় স্বাভাবিক দিনের মতোই টার্মিনালে রয়েছে যাত্রীদের আনাগোনা। সারিবদ্ধভাবেভাবে বাসগুলো অপেক্ষা করছে ঢাকা ছাড়ার উদ্দেশ্যে। 

তবে যে পরিমাণ বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ছে, সে অনুপাতে ঢাকার বাইরে থেকে কম বাস ফিরছে বলে জানিয়েছেন টার্মিনাল সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, চলাচল স্বাভাবিক থাললেও দূরপাল্লার যাত্রায় শঙ্কা ও আতঙ্ক রয়েছে।

ময়মনসিংহ যেতে টার্মিনালে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন মোশাররফ হোসেন নাম এক যাত্রী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটা জরুরি কাজে বাড়িতে যাওয়া দরকার, তাই যাচ্ছি। তবে কালকের দিন নিয়ে একটু টেনশন কাজ করছে।

ইয়াসিন পাটোয়ারী নামে আরেক যাত্রী বলেন, বাড়িতে বাবা মা অসুস্থ, তাদের দেখতে যাচ্ছি। সকালে এসে বাস পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিকই মনে হয়েছে।

পরিবারসহ কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন নাজমুল আহমেদ। তিনি বলেন, অনেকদিন পর অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি, ফিরবো দু-তিনদিন পর। সমাবেশ নিয়ে শঙ্কা কাজ করছে। তবে পথে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।

এদিকে টার্মিনালে কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাবেশ উপলক্ষে গাড়ি বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা নেই। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে সীমিত সময়ের জন্য টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হতে পারে।

অনন্যা পরিবহনের কাউন্টার কর্মী বাবু বলেন, কালকের দিনের জন্য গাড়ি বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। গাড়ি চলবে। তবে পরিস্থিতি যদি খারাপ হয়, তাহলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকতে পারে। তখন কোনো গাড়ি ছাড়া হবে না।

পিপিএল সুপার কাউন্টারের ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, সমাবেশ উপলক্ষে মানুষের মনে একটু আতঙ্ক কাজ করছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ টিকিট বিক্রির পরিমাণও কম। তবে আমাদের কোনো ট্রিপ বাতিল হয়নি। সব বাসই টাইমমতো ছাড়ছে। আর কালকেও বাস চলবে। যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়, সেক্ষেত্রে হয়তো ট্রিপ বন্ধ রাখা হতে পারে।

ওএফএ/এমএসএ