নির্বাচন কমিশন যখন তফসিল ঘোষণা করবে, তখন থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

আজ (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

সংবিধান অনুসারে ৩০ অক্টোবর থেকে ৩০ জানুয়ারি এই নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে অক্টোবরের ৩০ থেকে থেকেই কি নির্বাচনকালীন সরকার, সংবিধান কী বলে? জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। এখন কথা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালেও এটা করেছেন, তার কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এটা করেছেন। এখন তার ওপর নির্ভর করে তিনি কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবেন, বা কী করবেন, কী করবেন না। আবার সংবিধান অনুযায়ী যদি আমরা বলি, যখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার। 

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা ছোটো হয়েছিল। এ বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ের ইতিহাস আপনারা জানেন। বিরোধী দলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা ধরেননি। সে ক্ষেত্রে ২০১৮ সালেও তিনি আলোচনা করেছেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচনে গেছেন। কিন্তু প্রতিবারই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নষ্ট করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত প্রতিবার নির্বাচন নষ্ট করার চেষ্টা করেছে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রভিশন ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই।  

এদিকে আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের অপরাধীকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না অপর এক প্রশ্নের জবাবে জানান মন্ত্রী।  

আনসারকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে কি না— এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এ সব কোনো ক্ষমতা আনসারকে দেওয়া হচ্ছে না। এই আইনটা নিয়ে যেসব বিষয়ে প্রশ্ন ছিল, সেই সব ব্যাপার দেখা হয়েছে। তদন্তের কথা বলা হয়েছে, পুলিশ বাহিনীর বক্তব্যগুলো প্রাধান্য দিয়ে এই আইনটা পাস হবে। 

আইনটিতে বলা হয়েছে, কোনো অপরাধ যদি আনসার বাহিনীর সামনে ঘটে, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে পারবে— একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি যেটা জানি... কিছু কিছু জায়গায়... যেখানে প্রশ্ন ছিল, সেটা যখন স্থায়ী কমিটিতে যাবে, সেগুলো স্পষ্ট করা হবে। 

 

এসএইচআর/এনএফ