কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না করে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়া ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সেতুর কাজ পড়ে থাকলেও ঠিকাদার অগ্রিম বিল হিসাবে ৩ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলাধীন ঝাউদিয়া হাট সড়কের গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ সংক্রান্ত ঠিকাদার নুরুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের কুষ্টিয়া অফিস। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুদকের কুষ্টিয়া অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১ মার্চ ২০২১ তারিখে বৃত্তিপাড়া হাট আরঅ্যান্ডএইচ জামজামী ভায়া ঝাউদিয়া হাট সড়কে ১৪শ মিটার চেইনেজে ৮১ মিটার প্রিস্টেসড গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে সেতু নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে। মাঝে কাজ চলমান দেখিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা অগ্রিম তুলে নেওয়া হয়েছে।

সেতুর নির্মাণের কাজ শেষ না করে দেড় বছর ধরে ফেলে রাখার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দুদক টিম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, এলজিইডির প্রতিনিধি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ, কুষ্টিয়ার একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর সহায়তায় নির্মিতব্য সেতুর স্পেসিফিকেশন, এস্টিমেট এবং ডিজাইন সরেজমিন যাচাই করে।

প্রাথমিক যাচাইয়ে টিম সেতু নির্মাণের কাজ যথাসময়ে না হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ পায়। কার্যাদেশ অনুযায়ী গুণগতমান বজায় রেখে সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদার এবং কুষ্টিয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেয় টিম। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে বুধবার পাসপোর্ট সেবা দিতে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের জামালপুর অফিসের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে টিমের সদস্যরা সরেজমিন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস গিয়ে পরিচয় গোপন করে সেবাপ্রত্যাশী বিভিন্ন ব্যক্তি, অনলাইনে আবেদনের বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, জামালপুরের আনসার সদস্যদের সঙ্গে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা গ্রহণের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য গ্রহণ করে। এ বিষয়েও বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

আরএম/জেডএস