স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, ধর্মের উপরে যদি কোনো বিবাদ হয়, শ্রেণিগত কোনো বিসম্বাদ হয়, পেশাগত কোনো অসম্মান হয়, তাহলে কোনো জাতি সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবে না। সে কারণে বঙ্গবন্ধু একটা অভিন্ন ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের জন্য স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই উদ্দেশেই স্বাধীনতার পর একটি গর্বিত জাতি রূপান্তরিত করার জন্য স্বপ্ন দেখেছেন। যাত্রাও আরম্ভ করেছিলেন।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বারিধারা ডিওএইচএস সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমি অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়েই বড় হয়েছি। যদিও আমার পরিবার মুসলমান। আমি ব্যক্তিগতভাবে মুসলমান ধর্মের সব নিয়মকানুন লালন করি এবং পালন করি। কিন্তু আমার মনে কখনো ব্যক্তিগতভাবে আসে নাই যে, অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে হবে, অন্য ধর্মের পদ্ধতির প্রতি অসম্মান করতে হবে।

তিনি বলেন, আমার ধর্ম কখনো অন্য ধর্মকে অসম্মান করার বিষয় শিক্ষা দেয়নি। অন্য কোনো ধর্মে হিন্দু ধর্মকে অসম্মান করা অথবা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করার নির্দেশনা আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধানে সব বিষয় নিখুঁতভাবে বর্ণিত হয়েছে। সব মানুষকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানে প্রত্যেকটি নাগরিকের, প্রত্যেকটি মানুষের, প্রত্যেকটি ধর্মের অধিকারের কথা বর্ণিত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশে আমরা যেই আশা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, এখানে বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের বিঘ্ন হয়েছে। ঘাতকরা এখানেই ক্ষান্ত হয়নি, এরপর আমাদের ধর্মীয় বিভক্তি করার জন্য পাঁয়তারা করা হয়েছে। এটা আমাদের বুঝতে হবে।

বারিধারা ডিওএইচএস পূজা কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা বিদ্যুৎ।

এমএসআই/এসএসএইচ