মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি আনোয়ার হোসেনকে (বিহারী আনোয়ার) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা।

র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ নানা মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। একাত্তর সালের ২৩ মে দিবাগত রাতে আনোয়ার হোসেন ১৫/১৬ জন সশস্ত্র রাজাকার ও ৫/৬ জন পাকিস্তানি আর্মি নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানাধীন মৈশাকান্দা গ্রামের স্বাধীনতাকামী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের নির্যাতন করে। এসময় প্রায় ১০/১২টি বাড়ি-ঘর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে আনোয়ার। 

তিনি আরও জানান, ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট ফুলপুর থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজাকার রজব আলী ফকিরের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী আনোয়ার হোসেনসহ ২০/২৫ জন সশস্ত্র রাজাকার ফুলপুরের পূর্ব বাখাই ও পশ্চিম বাখাই এলাকার স্বাধীনতাকামী ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর লুটপাট করে এবং ৯/১০ জন হিন্দু লোককে কংশ নদীর শর্চাপুর ঘাটে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। 

মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়। ট্রাইব্যুনাল দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

আসামি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় র‍্যাব।

এআর/এসএম