বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, দার্শনিক ব্রার্ন্টার্ন্ড রাসেলের নামানুসারে বঙ্গবন্ধু তার কনিষ্ঠ পুত্রের নাম রাসেল রাখেন। তাকে নিয়ে হয়তো জাতির পিতার অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্তু রাসেলের মতো একটি সম্ভাবনাময় শিশু বিকশিত হওয়ার আগেই ঘাতকের বুলেটের অকালে প্রাণ দিয়েছেন। রাসেলের মতো করুণ পরিণতি যেন আর কোনো শিশুর না হয়।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, শেখ রাসেল যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই-সংগ্রামে ব্যস্ত ছিলেন। বারবার কারাবরণ করার কারণে বঙ্গবন্ধু তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে কখনো সেভাবে সময় দিতে পারেননি। রাসেল বেড়ে উঠছিলেন পিতার স্নেহবঞ্চিত হয়ে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সবারই আত্মত্যাগ রয়েছে। আর শিশু রাসেলের আত্মত্যাগ হলো তার পিতার স্নেহবঞ্চিত হওয়া। 

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ১৫ আগস্টের কাল রাতের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছি। জাতির পিতার কন্যার হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছে। এই অর্জন আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।

এতে সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ও পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন সংযুক্ত ছিলেন। 

ওএফএ/কেএ