দুর্নীতির মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি হয়েছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ ও তার স্ত্রী নুরুন নাহার লোটাস।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আজ দুদক আইন-২০০৪ এর আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে দুদকের কুমিল্লা অফিসের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস্সা’দাৎ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ২৯৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাহজাহান আহমেদ ও তার স্ত্রী নুরুন নাহার লোটাসের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকালে তাদের আরও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেলে তা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি শাহজাহান আহমেদ ১৯৮৭ সালে বস্ত্র অধিদপ্তরে ড্রাফটসম্যান পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯১ সালে ডেপুটি জেলার পদে আত্তীকৃত হন এবং বর্তমানে তিনি সিনিয়র জেল সুপার পদে চলতি দায়িত্বে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯২ সালের ২০ জুন খন্দকার নুরুন নাহার লোটাসকে বিয়ে করেন। তিনি পেশায় গৃহিণী। আর জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত ছিলেন।

অনুসন্ধানকালে শাহজাহান আহমেদ নিজ নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ ১ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ২৬৩ টাকার সম্পদের মালিকানা পাওয়া যায়। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার মোট আয় পাওয়া যায় ৫৮ লাখ ১০ হাজার ৪১ টাকা। অর্থাৎ ৭২ লাখ ৯ হাজার ২২২ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে অনুসন্ধানকালে নুরুন নাহার লোটাসের নামে অর্জিত ১ কোটি ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। দুদকের কাছে প্রথম দিকে ব্যবসার কথা উল্লেখ করা হলেও ব্যবসার কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি ব্যবসা থেকে কোনো উপার্জন করেননি। অর্থাৎ ওই সব সম্পদ স্বামীর দুর্নীতির টাকায় অর্জন করেছেন।

আরএম/এসকেডি