ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী র্যাম্প খুলেছে
১৫টি র্যাম্পের মধ্যে ১৩টি র্যাম্প নিয়ে চালু হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ‘বনানী এন্ট্রি র্যাম্প-২’ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে বনানী ও মিরপুর কালশি থেকে গাড়িগুলো সহজেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে ফার্মগেট আসতে পারবে। এখন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মহাখালির এন্ট্রি র্যাম্প।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) কাজী মো. ফেরদাউস বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) থেকে পুরোপুরি বনানী ও মিরপুর কালশি থেকে আসা গাড়িগুলো বনানী এন্ট্রি র্যাম্প-২ দিয়ে উঠে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে করে ফার্মগেট যেতে পারবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ২০১১ সালে এটি নির্মাণ চুক্তি সই হয়। কথা ছিল ২০১৩ সালের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১০ বছর পর আংশিক উদ্বোধন করা হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। ৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলেছে ১২ লাখ ৭৮ হাজার ২৩৫টি। এসব গাড়ি থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
বর্তমানে চারটি ক্যাটাগরির গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারছে। ক্যাটাগরি-১ এর যানবাহনগুলো হচ্ছে– কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাক (৩ টনের কম); ক্যাটাগরি-২ এর যানবাহন হচ্ছে– মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত); ক্যাটাগরি-৩ এ রয়েছে ট্রাক (৬ চাকার বেশি) এবং ক্যাটাগরি-৪ এ রয়েছে সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা এর বেশি)।
এছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর খামারবাড়ি মোড় থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে উত্তরা পর্যন্ত সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)।
এমএইচএন/এসএসএইচ