সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনকালীন সরকার কি গতবারের মতো হবে, নাকি কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন বা বাধ্যবাধকতা নেই। এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন বর্তমান মন্ত্রিসভার পুরোটা থাকবে কি না, নাকি সেটি ছোট করবেন কিংবা বড় করবেন, সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। নির্বাচনকালীন বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে বা হতে যাচ্ছে এই কথাগুলো আসলে সংবিধান সম্মত নয়। সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেবের একটা কথা খুব আলোচিত হয়েছে। তিনি বলেছেন সরকার পতনের যে চলমান আন্দোলন সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাবিশ্বের সমর্থন তাদের প্রতি রয়েছে। এজন্য তারা এগিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তিনি যে সমর্থনের কথা বললেন সেটা হলো, তাদের অবস্থান তাদের সাহস যোগাচ্ছে। আসলে তাদের আন্দোলনকে কেউ সমর্থন দেয় না। পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান যেমন ইসরাইলকে সাহস যোগাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে পশ্চিমাদের অবস্থান তাদের (বিএনপি) সাহস যোগাচ্ছে। দুইটার মধ্যে মিল আছে।
তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান ইসরাইলকে স্পষ্ট সাহস যোগাচ্ছে এবং পশ্চিমাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি,অস্ট্রিয়া এমনকি অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিতের পক্ষে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সেখানে দমন করা হয়েছে।
যেকোন বিষয়ে মত প্রকাশ করতে পারার অধিকারটাই হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা- উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ইসরাইলিদের বিপক্ষে যাবে বিধায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কেউ কথা বলতে পারবে না। ফ্রান্সের আইনমন্ত্রী বলেছেন যে এ ব্যাপারে কেউ কোনো বক্তব্য রাখলে সেটি আইনত দণ্ডনীয় হিসেবে ধরা হতে পারে। অর্থাৎ পশ্চিমাবিশ্বের অবস্থান একদিকে ইসরাইলকে সাহস যোগাচ্ছে, আরেক দিকে মির্জা ফখরুল সাহেবকে সাহস যোগাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী দল সংলাপের কথা বলেছেন। সে বিষয়ে আপনার বক্তব্য ক? -জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র যেকোন পরামর্শ দিতে পারে। দেশটা আমাদের এবং দেশের মালিক জনগণ এখন বন্ধুরাষ্ট্র কে কি করলো সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেশের জনগণ কি চায় সেটি হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা পরামর্শ দিতে পারে। সেটা গ্রহণ করবো কি করবো না, সেটা সম্পূর্ণ আমাদের এখতিয়ার।
এসএইচআর/এসএম