নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে চালকদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

বুধবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় বিআরটিএ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের যৌথ উদৌগে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে বিনামূল্যে মোটরযান চালকদের স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, গত বছর ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালিত একই কার্যক্রমে প্রায় ৬০০ চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে ৩৬ শতাংশ চালকের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা, ১৭ শতাংশ চালকদের দৃষ্টিজনিত সমস্যা এবং প্রায় ৭ শতাংশ চোখের ছানির সমস্যা পাওয়া গেছে। যানবাহন পরিচালনা করার সময় চালকদের যদি স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তাহলে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই চালকদের উচিৎ স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে মোটরযান চালানো।

সভায় বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, আমাদের দেশের চালকরা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে চোখের সমস্যা নিয়ে তারা গাড়ি চালিয়ে থাকে। এটি সড়ক দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ। গাড়ি চালকদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহযোগিতায় আজকের স্বাস্থ্য এবং চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রম ও মাদক ব্যবহারের ক্ষতি বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এবছর দেশব্যাপী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, লায়ন্স ক্লাব, রোটারি ক্লাবের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে করে চালকরা সচেতন হবে বলে আমি মনে করি। এ কার্যক্রম থেকে যে সব চালকদের চোখের সমস্যা পাওয়া যাবে তাদের পরবর্তী পরীক্ষা, চশমা ও ছানি অপারেশন বিনামূল্যে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমানের সঞ্চালনায় উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম, লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ওয়েসিসের প্রেসিডেন্ট লায়ন মুস্তোফা ইমরুল কায়েস (এমজেএফ), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, রোটারি ক্লাব অব আবাহানীকুঞ্জ ঢাকার রোটা পিপি শেখ জাহাঙ্গীর আলম (পিএইচএফ), বিআরটিএ’র পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, বিভাগীয় পরিচালক শহিদুল্লাহ, পরিচালক লোকমান হোসেন মোল্লা এবং সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন।

এমএইচএন/এসএম