আমরা চাই না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হোক : তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, এটা দুঃখজনক যে এবারের ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ এবং তা আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে আমার সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। আমরা চাই না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হোক। এখন উচিত ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে সচেতন হওয়া। যেন কোথাও পানি জমে থাকতে না পারে। সেরকম দেখা গেলে তা ধ্বংস করে ফেলা।
বুধবার (১১ অক্টোবর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ-তথ্য শেয়ারিং শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে সীমিত আকারে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে তা প্রকট আকারে দেখা যায়। সে সময় ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশ কী পন্থা অবলম্বন করে, সে বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। তারপরেও সে বছর আমাদের জন্য সুখকর হয়নি। ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের অনেক লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং কেউ কেউ মৃত্যুবরণও করেছে।
মন্ত্রী বলেন, তবে ২০২০ সালে আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় আগের বারের চেয়ে সফল হই। প্রস্তুতি ও প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এ ধরনের ইতিবাচক ফল আসে। ২১-২২ সালেও সে ধারা বজায় ছিল।
তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরের শুরুতে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়। এতে পর্যালোচনা করা হয় যে, সিটি কর্পোরেশনের কাছে মশা মারার ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে কিনা, যন্ত্রপাতি আছে কিনা এবং প্রয়োজনীয় লোকবল আছে কিনা।
এরপর আমরা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে যে ওয়ার্ড রয়েছে, সেগুলোকে ১০ ভাগে ভাগ করি। যার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক একত্রিত হলো। যার ফলে ডেঙ্গু মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করে সহজেই তা ধ্বংস করা গেছে, বলেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় সেশনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক, সিনিয়র অপারেশন অফিসার ইফাত মাহমুদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ফারজানা মান্নান প্রমুখ।
ওএফএ/জেডএস