যেখানে সারফেস ড্রেনে অবৈধভাবে পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেওয়া আছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা ওয়াসার মধ্যে নিরাপদ ও টেকসই পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর শহর, একটি দূষণমুক্ত শহর। আমরা চাই শহরের খালগুলো হবে দূষণমুক্ত। গুলশান-বারিধারার লেকে মাছ চাষ করা যায় না। কারণ সুয়ারেজের ব্ল্যাক ওয়াটার খালের পানি দূষিত করে ফেলেছে। অর্থাৎ ড্রেনে পয়োবর্জ্যের সংযোগের ফলে খাল দূষিত হচ্ছে এবং খালের দূষিত পানি নদীতে গিয়ে প্রবাহিত হয়ে নদীও দূষিত করছে।

মেয়র বলেন, অন সাইট স্যানিটেশন টেকনোলজির বিষয়ে আমরা ডিএনসিসির উদ্যোগে গুলশানে শাহাবুদ্দীন পার্কে দুই দিনব্যাপী স্যানিটেশন ফেয়ার আয়োজন করেছি। ফেয়ারে দেশিবিদেশি ২৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রযুক্তি প্রদর্শনী করেছে। চাইলেই খুব অল্প খরচে বাড়িতে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা যায়।

এদিকে, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা ওয়াসা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসীর বসতবাড়ি থেকে শিডিউলড ডিস্লাজিংয়ের মাধ্যমে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। সংগ্রহ করা বর্জ্য ও দূষিত পানি প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, যা দাশেরকান্দিতে অবস্থিত, সেখানে পরিশোধন ও পরিবেশে ফেরতের উপযুক্ত অবস্থায় নিষ্কাশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউনিসেফ এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ডিএনসিসি ও ঢাকা ওয়াসা এটি বাস্তবায়ন করবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।

এএসএস/এসএসএইচ/