বাংলা‌দে‌শে আশ্রিত রো‌হিঙ্গা‌দের প্রত‌্যাবাসন করা না গে‌লে এ অঞ্চল এবং এর বা‌ইরে নিরাপত্তার জন্য হুম‌কি হ‌তে পা‌রে জা‌তিসং‌ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর) জা‌নি‌য়ে‌ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মেন।

সোমবার (৯ অ‌ক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে ইউএনএইচসিআরের নতুন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ স্মাবুল রিজভী প‌রিচয়পত্র পেশ কর‌তে এ‌লে এ কথা জানান ড. মো‌মেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভকে বাংলা‌দে‌শে স্বাগত জানান। তি‌নি বাংলা‌দে‌শে দা‌য়িত্ব পালনকা‌লে কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভকে প্রয়োজনীয় সব সহ‌যো‌গিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। 

মো‌মেন বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় ইউএনএইচসিআরের প্রশংসা করেন। তি‌নি রো‌হিঙ্গা‌দের কার‌ণে বাংলাদেশ যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মু‌খোমু‌খি হ‌চ্ছে, তাও তু‌লে ধ‌রেন।

ড. মো‌মেন ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে না পারার কথা উ‌ল্লেখ ক‌রে ইউএনএইচসিআর এবং মিয়ানমারে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাকে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি সংস্থা‌টিকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তি‌নি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন যে, রোহিঙ্গা ইস্যুটি অবশ্যই বৈশ্বিক এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে। পাশাপা‌শি রো‌হিঙ্গা‌দের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত এবং অর্থপূর্ণ প্রচেষ্টা প্রয়োজন ব‌লেও উ‌ল্লেখ ক‌রেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ।

এনআই/এসকেডি