এসএ পরিবহন কুরিয়ার কার্যালয়ে আগুন
এক ঘণ্টা বন্ধের পর ঝুঁকি নিয়ে ফের উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর কাকরাইলের এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ক্ষণে ক্ষণে ঘটছে বিস্ফোরণ। পটকা জাতীয় পণ্যের গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্ধার অভিযান প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ রেখেছিল ফায়ার সার্ভিস। তবে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ দল।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, এখানে ফায়ার সেফটির নিয়ম মানা হয়নি। সাধারণ পণ্যের সঙ্গেই রাখা হয়েছিল বিস্ফোরক জাতীয় কুরিয়ারে আসা পণ্যও। সেগুলো অপসারণ ও নিস্ক্রীয় না করা পর্যন্ত ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই ঝুঁকি নিয়েই ফের উদ্ধার অভিযান শুরু কর করতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানের কাজে অংশ নেওয়া একাধিক ফায়ার সার্ভিস সদস্য জানান, এখানে বিস্ফোরণ ও আগুন বেগবান করার মত অনেক ধরনের পণ্য ছিল। এর মধ্যে রয়েছে পটকা, আগরবাতি কেমিক্যাল, কসমেটিক্স পণ্য, রাসায়নিক পণ্যও। যেগুলো এখানে ঢোকারই কোন সুযোগ ছিল না। আগেই আলাদা ব্যবস্থাপনায় রাখার কথা ছিল। অথচ সব ধরনের সাধারণ পণ্যের সঙ্গেই এসব ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য রাখা হয়েছিল।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক (ঢাকা) আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে বারবার বিস্ফোরণ হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য ভেতর থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তাই মাঝখানে আমরা ঘণ্টাখানেকের মত কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। আমাদের অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ টিম এখানে এসেছে। তারা ভেতরে ঢুকে ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যগুলো অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, কাকরাইলের এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের এই কার্যালয়ের পার্সেল ডেলিভারি শাখায় মূলত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এখানে কি কি ধরনের পণ্য ছিল তা কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছেন না। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল অথচ কুরিয়ার সার্ভিসের একটি লোকও এখানে নেই, যারা বলবেন ভেতরে আসলে কি কি পণ্য ছিল।
আমরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি এরমধ্যেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। ক্ষণে ক্ষণে জ্বলে উঠছে আগুনও। এখানে উদ্ধার কাজ সঠিকভাবে সমাপ্ত না করা পর্যন্ত বড় ধরণের ঝুঁকি থেকে যায়।
কাকরাইলের এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে আগুন লাগার পর একাধিক বার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কার্যালয় আশপাশে অবস্থান করা কুরিয়ার সার্ভিসটির কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি হননি।
জেইউ/এমএসএ