ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার খবর দেওয়া হলেও ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণ ঘটছে, হঠাৎ হঠাৎ আগুনও জ্বলে উঠছে কাকরাইলের সেই এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরিয়ার সার্ভিসে সাধারণত বিস্ফোরক জাতীয় জিনিসপত্র আনলে সেগুলো আলাদা করে রাখার নিয়ম। এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানোর নিয়ম। কিন্তু এসএ পরিবহনের অফিসে সেই নিয়ম মানা হয়নি। সাধারণ পণ্যের সঙ্গেই পটকা, সিলিন্ডারসহ বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য একই সঙ্গে রাখা হয়েছে যা বড় ধরণের ব্যত্যয়।

সোমবার (৯ অক্টোবর) সরেজমিনে কাকরাইল এস এ পরিবহন পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখনো পানি দিয়ে যাচ্ছেন, সঙ্গে ফোম স্প্রে করছেন। ফায়ার সার্ভিসের অনেক কর্মীকে আবার বালি ভর্তি বস্তা টেনে নিয়ে সেখানে ফেলতে দেখা যায়। ভবনটির নিচ তলায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্প্রে করে যাচ্ছেন। তবে ক্ষণে ক্ষণে সেখানে বিস্ফোরণ ও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক(প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টে বলেন, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন যে, এখানে ক্ষণে ক্ষণে ছোট বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। আমরা শুধু পানি ব্যবহার করতেছি না, এখানে ফোম স্প্রে করা হচ্ছে যাতে করে ভেতরে পরিবেশটা একটু ঠান্ডা হয়। ফোম স্প্রে সঙ্গে আমরা ভেতরে বালিও ছিটিয়ে দিচ্ছি। 

ক্ষণে ক্ষণে কেন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখানে প্রাথমিকভাবে যেটা বুঝতে পারতেছি এখানে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। সাধারণত যেটা নিয়ম কঠোরভাবে পরিপালন করতে হয়, সেটা হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে আসা সাধারণ পণ্যগুলো আলাদা করে রাখা এবং বিস্ফোরক জাতীয় বা অন্য রাসায়নিক দ্রব্য জাতীয় পণ্য সঠিকভাবে আলাদা করে রক্ষণাবেক্ষণ করা। কিন্তু আমরা এখানে সেটা দেখছি না। সাধারণ পণ্যের সঙ্গে বিস্ফোরক ও রাসায়নিক দ্রব্যজাতীয় পণ্য একই সঙ্গে রাখা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও যে কারণে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। 

তিনি আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের পর আমরা বুঝতে পারবো যে ভেতরে আসলে কি কি ধরনের জিনিস রাখা হয়েছিল। তাদের ফায়ার সেফটি সিকিউরিটির কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা সেটা পর্যালোচনা করা হবে। 

তবে এটা এখন পর্যন্ত প্রতিমান যে সেখানে ফাস্ট সেফটির ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণ কিংবা নির্বাপনের জন্য তাদের যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না।

জেইউ/এমএসএ