চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে মারা যাওয়া দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের আহ্বান জানিয়েছে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা)। রোববার (৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংগঠনটি বলছে, গত ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রতিদিন পত্রিকায় ‘চট্টগ্রামে থানায় মারা যাওয়া দুদকের ডিডিকে ফাঁসাতে 'সমন গায়েব' আদালতের পেশকার’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ ও মামলার বাদীর কথোপকথনের অডিও প্রকাশ পেয়েছে। মৃতের পরিবারের বক্তব্য, ভিডিও ফুটেজ, সিআর মামলার অর্ডার শিট, সমন ও ওয়ারেন্টের কপি, পত্রিকার সংবাদ ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, গৃহবধূকে বাদী সাজিয়ে স্থানীয় চাঁদাবাজ, আইনজীবী, কোর্ট কর্মকর্তা, বিপথগামী কতিপয় পুলিশ সদস্য সিন্ডকেট করে মোহাম্মদ শহীদুল্লা-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা, মনগড়া, ভিত্তিহীন একটি পিটিশন দায়ের করে। ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বহু মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা ঘুষ দুর্নীতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশনের তফশিলভুক্ত অপরাধ। এ কারণে ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করা একান্ত প্রয়োজন এবং একই সঙ্গে অনুসন্ধান করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

গৃহকর্মীর দায়ের করা মামলায় ৩ অক্টোবর মধ্যরাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরই থানা হেফাজতে মারা যান তিনি। যদিও পরিবারের দাবি পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৯ আগস্ট চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করার পর ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছিল। আদালত অভিযোগটি ৩২৩ ধারায় আমলে নেন। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার মাধ্যমে ইস্যু করে আদালতের পরোয়ানায় ৩০ অক্টোবর আসামিকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশনা দেন আদালত। কিন্তু ৩ অক্টোবর মধ্যরাতে সাদা পোশাকে পুলিশের কয়েকজন সদস্য দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। এরপরই সেখানে তার মৃত্যু হয়।

আরএম/এসকেডি