স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের আরও মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে, সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে।

রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর বাড্ডা ও নতুন বাজার এলাকায় ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান পরিদর্শনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগের ধারক ও বাহক এডিস মশা মূলত মানুষের বাসা বাড়ি কিংবা নির্মাণাধীন স্থাপনায় জন্ম নেয়। এ মশা নদী, নালা, খাল, বিল, নর্দমার পানিতে জন্ম নেয় না। এ মশা প্রজননের জন্য জমাটবদ্ধ পরিষ্কার পানি প্রয়োজন হয়। ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া পদক্ষেপের বর্ণনা দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টিভিসি প্রচারসহ পত্রপত্রিকায়ও বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া বছরের প্রথম থেকেই আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় মিটিংসহ পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা নিম্নমুখী হচ্ছে।

এদিকে ডিএনসিসির আজকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮ মামলায় মোট ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ডিএনসিসির অঞ্চল ৫ এ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অঞ্চল ৩ এ ৩ লাখ টাকা, অঞ্চল-১ এ ৩০ হাজার টাকা, অঞ্চল-২ এ ২০ হাজার টাকা, অঞ্চল- ৬ এ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গণি, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এএসএস/জেডএস