রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অলিগলিতে রাখা সব ট্রাককে একটি জায়গায় রাখতে এবার ৫ একর জমিতে হবে মাল্টি স্টেট ট্রাকস্ট্যান্ড। শিগগিরই প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম-উত্তরে বিটিআরসির সাড়ে ৩ একর এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দেড় একর জায়গা বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর বাড্ডা-নতুন বাজার এলাকায় মশক নিধন অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র আতিক বলেন, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড আমরা কিন্তু সরিয়েছি। ট্রাকের জন্য স্ট্যান্ড আমরা কেউ করতে পারিনি এখনো। একটা টেকসই স্ট্যান্ড যদি করতে না পারি তাহলে এই ট্রাকগুলো কই থাকবে? ট্রাকের জন্য নির্দিষ্ট যে স্ট্যান্ড সেখানে ট্রাকের যে জায়গা এক বিঘার মধ্যে, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে করে দিয়ে গেছেন। কিন্তু এখন তো এক বিঘায় কোনো কিছুই হবে না, অফিস হবে নাকি জায়গা হবে?

তিনি বলেন, ট্রাকস্ট্যান্ডের জায়গার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম এবং উনাকে বলেছি যে, সেখানে বিটিআরসির সাড়ে ৩ একর জমি আছে আর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দেড় একর জমি আছে। এই মোট ৫ একর জমি যদি আমরা পাই তাহলে এখানে আমরা সুন্দর করে একটি আধুনিক ট্রাকস্ট্যান্ড করে দিতে পারি, যেটা টেকসই হবে। তা না হলে আজ ট্রাক সরাব কাল ট্রাক আবার চলে আসবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন আমাকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সামারিটা অ্যাপ্রোভ (অনুমোদন) করে দিয়েছেন। যদি এটা হয়, তাহলে ওই ৫ একর জমিতেই হবে আধুনিক ট্রাকস্ট্যান্ড। তখন আমরা এই যে অলিগলিতে রাখা সব ট্রাক একটি জায়গায় নিয়ে আসব। এভাবে আমরা চাই একটি সাসটেইনেবল স্মার্ট সিটি করার জন্য। যেহেতু খবর পেয়েছি, আমরা আশা করি যে খুব শিগগিরই জায়গাটা বুঝে নিয়ে এখানে মাল্টি স্টেট একটি ট্রাকস্ট্যান্ড করব।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে সাতরাস্তার ট্রাকস্ট্যান্ড সড়কের ওপর থেকে সরিয়ে ফেলতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো কাজে আসেনি। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সড়ক থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়ে রাস্তা যান চলাচলের উপযোগী করার পরপরই আবার সড়কে যান চলাচল আটকে যায়। সড়ক দখল হয়ে যায় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান আর লেগুনায়।

/এসআই রাজ/এসএসএইচ/