রাজধানীতে বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শেষ হয়েছে শুক্রবার রাতে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানী শহর ঢাকায় বৃষ্টি না হলেও কিছু এলাকার গলিতে এখনও পানি জমে আছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য বলছে গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১২৫ মিলিমিটার। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, ৩৫৮ মিলিমিটার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর মধ্যবাড্ডা, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট, বাগানবাড়ি, ওয়ারীসহ বেশকিছু জায়গার গালিতে পানি জমে আছে। এতে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পানির কারণে দোকানপাটও খুলতে পারেনি অনকে দোকানি।

মেরুল বাড্ডার বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ বলেন, বাসার সামনে প্রায় হাঁটু পানি জমেছে। এখনও পানি সরেনি। সকালে অফিসে আসার সময় জুতা হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি। গতকালও পানি জমা ছিল। এ পানি কখন নামবে কে জানে।

ওই এলাকার দোকানি বিমল চন্দ বলেন, দুদিন ধরে বৃষ্টি। দোকানের সামনে পানি জমে আছে। দোকান খুলতে পারিনি। ম্যানহোলের বিভিন্ন মুখগুলো দেখলাম, পানি নামছে আস্তে ধীরে। এভাবে দোকানের সামনে পানি থাকলে তো লোক আসতে পারবে না। পানি নামার অপেক্ষা করছি।

ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা নাইমুর হোসেন বলেন, গতকাল রাতে পানি ভেঙে বাসায় ঢুকেছি। সকালেও জানালা থেকে দেখলাম গলিতে পানি আছে। সকালে যারা অফিসে গেছেন, তাদের জুতা হাতে নিয়ে বের হতে যেতে দেখেছি। 

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর ভারী বর্ষণে তলিয়ে যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এর মধ্যে ধানমন্ডি-২৭, কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, পুরান ঢাকার হোসনি দালান, নাজিমউদ্দিন সড়ক, আলাউদ্দিন সড়ক, বকশীবাজার, বংশাল অন্যতম।

গত রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় আবারও জলজট তৈরি হয়েছিল। বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার জায়গা না পেয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় জমে আছি। ফলে নিউমার্কেট ও হকার্স মার্কেটে হাঁটু পানি জমে তৈরি হয়েছিল খারাপ অবস্থা। নিউমার্কেটের ভেতরে বৃষ্টির জমা পানি দোকান ছুঁই ছুঁই হলেও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে দোকানের ভেতরে পানি ঢুকেছিল। আর পানি অপসারণ করতে নিউমার্কেটের ভেতরে বসানো হয়েছিল বেশ কয়েকটি পাম্প।

এমএইচএন/এমএসএ