শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে পানি জমে রাজধানীর নিউমার্কেট ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চরম জলজট তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার জায়গা না পেয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় জমে আছে। ফলে নিউমার্কেট ও হকার্স মার্কেটে হাঁটু পানি জমে তৈরি হয়েছে খারাপ অবস্থা।

নিউমার্কেটের ভেতরে বৃষ্টির জমা পানি দোকান ছুঁইছুঁই হলেও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে দোকানের ভেতরে পানি ঢুকেছে। আর পানি অপসারণ করতে নিউমার্কেটের ভেতরে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি পাম্প।

শনিবার (৭ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে মিরপুর সড়কের পাশে পানি জমলেও নায়েমের গলির বিপরীত পাশের গ্লোব শপিং সেন্টারের সামনে থেকে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের শেষ মাথা পর্যন্ত পুরো সড়কই পানির নিচে। মার্কেটের ভেতর এবং সড়কে এক সমান পানি দেখা গেছে। আবার সড়কে জমা পানির উপর দিয়েই গাড়ি চলাচলের কারণে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়ে ভেতরের দিকে আরও বেশি পরিমাণ পানি প্রবেশ করছে। নিউমার্কেটের অবস্থাও একইরকম।

এখানে পানি দোকানের ভেতরে প্রবেশ না করলেও একেবারেই দোকান বরাবর অবস্থান করছে। রাতে যদি আরও বর্ষণ হয় তবে দোকানে পানি প্রবেশ করতে বেশি সময় লাগবে না। এমন অবস্থায় আতঙ্কিত অনেক ব্যবসায়ীকে নিউমার্কেটের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই কর্মচারী নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দোকানের মেঝেতে রাখা জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

নিউমার্কেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিউমার্কেটের এ এলাকা একটু নিচু হওয়ার কারণে পানি সহজে জমে যায়। আবার আশেপাশের পানি এসেও এখানে জমা হয়। রাত ১০টা থেকে একাধিক পাম্প পানি অপসারণের জন্য কাজ করছে। না হলে এতক্ষণে হয়ত অন্যরকম ঘটনা ঘটে যেত। এখন পর্যন্ত কোন দোকানের ভেতরে পানি প্রবেশ করেনি। তবে একেবারেই দোকানের মেঝে বরাবর পানির অবস্থান। রাতে যদি আবার বেশি বৃষ্টি হয় তাহলে ভেতরে পানি প্রবেশ করতেও পারে। আমরা পানি অপসারণ করার জন্য চেষ্টা করছি।

একই অবস্থার কথা বললেন ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী সোহেল রানা। তিনি বলেন, সড়কের তুলনায় অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ার কারণে ভারী বৃষ্টি হলেই পানি ভেতরে চলে আসে। আবার গাড়ির ধাক্কায় বড় বড় ঢেউ তৈরি হওয়ার কারণে পানি ভেতরের দিকে আসে। এখানে সবগুলো দোকানই শাড়ি কাপড়ের। এগুলো যদি একবার ভিজে তাহলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

ভারী বৃষ্টিতে শুধু এখানেই নয় বরং আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায়ও পানি জমে তৈরি হয়েছে প্রচণ্ড ভোগান্তির। ঢাকা কলেজের সামনে, নায়েম সড়কে, বকশি বাজার মোড়ে, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সামনে এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনেও হাঁটু সমান পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

আরএইচটি/এসকেডি