সংগৃহীত

একটানা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝরছে বৃষ্টি। কখনো মুষলধারে, আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি থামলেও তা খুব একটা সময় দীর্ঘ হচ্ছে না। সাময়িক সময়ের ব্যবধানে আবার আবহাওয়া দখলে নিচ্ছে বৃষ্টি।

এ ভোগান্তির মধ্যেই শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে স্বস্তির বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরের মধ্যে কমে আসবে বৃষ্টি।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীজুড়ে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ না বাড়লেও আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে। তবে শনিবার দুপুরের মধ্যে বৃষ্টি কমে আসবে। কিন্তু আকাশ দিনভর মেঘলা থাকবে।

রোদের দেখা কবে মিলবে— এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ জানান, আগামীকাল বৃষ্টি কমলেও রোদের সম্ভাবনা নেই। তবে পরশুদিন রোববার থেকে দিন পরিষ্কার হবে। একইসঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে চলতি বর্ষা মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

এদিকে আজ সকাল থেকে সেভাবে বৃষ্টি না হলেও গতকালের আমেজ রয়েই গেছে। তবে সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই বাড়ে বৃষ্টি। একই তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন, আর তার সঙ্গে বৃষ্টির আমেজ, দুই মিলে রাস্তায় মানুষের সংখ্যাও খুব কম ছিল।  

অন্যান্য ছুটির দিন ঢাকার রাস্তায় যানজট না থাকলেও আজকের সকালে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা হয়েছে অন্য মাত্রায়। যে গাড়িগুলো রাস্তায় চলছে কোথাও কোনোরকম বাধা ছাড়াই একটানা চলতে পারছে সেগুলো। তবে কিছু জায়গায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালকদের।

অপরদিকে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বেশি সক্রিয় থাকায় সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরের নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, দিনাজপুর, রংপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, যশোর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের দেওয়া আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর এবং এর কাছাকাছি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এমজে