ভ্যাকসিন পাসপোর্ট দেওয়ার প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর ‘ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট’ অটোমেটিক জেনারেটেড হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নতুন একটি ধারণা। এটি সাধারণ পাসপোর্টের মতো নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এটি সম্ভবত সনদপত্রের মতোই একটি নথি হবে এবং যাদের কাছে এই নথি বা করোনার টিকা নিয়েছেন বলে সনদ থাকবে, তারা মুক্তভাবে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুরুতে ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধনে সমস্যা দেখা দিলেও তা পরে কেটে যায়। হয়ত তথ্য দেওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। প্রথম ডোজ নিতে কিন্তু প্রায় ৬৯ লাখ নিবন্ধন হয়েছে। আর প্রায় ৫২ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

পলক বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছি। প্রায় এক ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে, এখন পর্যন্ত শারীরিকভাবে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করছি না। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। এই ১২টি মাস বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দৃঢ়তা, সাহসিকতা এবং দূরদর্শিতা দিয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছেন এবং প্রথম দিকেই আমাদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, অনেক ধরনের অপপ্রচার ছিল, অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল দেশের বিরুদ্ধে, টিকার বিরুদ্ধে। আজ দেশের জনগণ কিন্তু এগিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা টিকা গ্রহণ করেছে। যার কারণে আমরা করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ আজ গ্রহণ করতে পারলাম।

সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে পলক বলেন, টিকা গ্রহণ করার সঙ্গে আমরা যেন স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলি। নিজেদের নিরাপদ রাখি, পরিবারকে নিরাপদ রাখি এবং দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সবাই সহযোগিতা করি।

একে/এসএসএইচ