ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি এর আগেও বিভিন্ন মেয়াদে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

বুধবার (৪ অক্টোবর) টিআইবি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল (৩ অক্টোবর) টিআইবির ধানমন্ডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ডের ১১৭তম সভায় সুলতানা কামালকে এ পদে নির্বাচন করা হয়। অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বিদায়ী চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. পারভীন হাসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। টিআইবির উদ্যোগে পরিচালিত দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে বিদায়ী চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. পারভীন হাসানের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ইতিপূর্বে বিভিন্ন মেয়াদে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি ২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট।

এছাড়া জাতিসংঘে আইন পরামর্শক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা সুলতানা কামাল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের ত্রিপুরায় ফিল্ড হাসপাতালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

প্রসঙ্গত, ট্রাস্টি বোর্ড টিআইবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। বোর্ডের অন্যান্যরা হলেন, কোষাধ্যক্ষ মাহফুজ আনাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী। আর সদস্যরা হলেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট তৌফিক নেওয়াজ, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন, অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, ভাসমান হাসপাতাল ‘‘জীবন তরী’এর উদ্যোক্তা মনসুর আহমেদ চৌধুরী ও সোসাইটি অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক ফিলিপ গাইন।

আরএম/এসকেডি