দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি উপায়ের কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেটি হলো রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। 

আইনমন্ত্রী জানান, যেকেউ রাষ্ট্রপতির কাছে সাজা মওকুফ চেয়ে আবেদন করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে তাকে দোষ স্বীকার করতে হবে। 

বুধবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। 

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা বলছি আগেই শর্ত দেওয়া ছিল এবং এখন সেটাকে পরিবর্তন করার আইনি কোনো সুযোগ নেই।’

বিষয়টা কি এমন যে আপনারা আন্তরিক কিন্তু আইন এটাকে পারমিট (অনুমোদন) করছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইন পারমিট করছে না, জি।’

অনেকেই সমালোচনা করছেন জোসেফের (নব্বইয়ের দশকের আলোচিত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তোফায়েল আহমেদ জোসেফ) মতো একজন যখন খালাস পেয়ে যান, সে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেখানে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী....এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জোসেফ কিন্তু কোনো আদালতে খালাস পায়নি। জোসেফকে সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। তিনি সেটা পারেন। কেন মওকুফ করেছেন তার কারণ হচ্ছে জোসেফ তার কাছে মাফ চেয়েছেন। এখানে এটার সঙ্গে আমরা যেটা বলছি ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার সেটার সঙ্গে তো কোনো সম্পর্ক নেই।’ 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা তিনি তা প্রয়োগ করেছেন। এটা আবার পুনরায় প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নাই। আর রাষ্ট্রপতির কাছে... আমি এটা সাজেস্ট করতে চাই না। আমি এ ব্যাপারে যেটা বলছি সেটা হচ্ছে সম্পূর্ণ আইনি বিধান। রাষ্ট্রপতির কাছে যিনি ক্ষমা চান তাকে কিন্তু দোষ স্বীকার করে দরখাস্ত করতে হয়। সেই ক্ষমা চাইতে হলে যিনি ক্ষমা চাইবেন এটা তার ডিসিশন (সিদ্ধান্ত), আমার না।’

এখন একমাত্র উপায় যেটা বলছেন রাষ্ট্রপতির কাছে যদি ক্ষমা চায়। তার মানে কী এখন একটাই উপায় আছে খালেদা জিয়ার দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যাপারে, বিষয়টি যদি স্পষ্ট করতেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ’এটা হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার। যে কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে মাফ চেয়ে তার সাজা মওকুফ করার জন্য আবেদন করতে পারেন।’

এসএইচআর/জেডএস