ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেছেন, বৃক্ষ রোপণের গুরুত্বকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। গাছ হলো আমাদের পৃথিবীর ফুসফুস। আমাদের বায়ুকে বিশুদ্ধ করতে, অক্সিজেন সরবরাহ করতে এবং একটি সুরেলা ভারসাম্যপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে বৃক্ষের অবদানকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ‘বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলোজি’ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস এরিয়াতে ১০০ বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। 

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেন, গাছগুলো আমাদের পরিবেশের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে।

তিনি বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের পরিণতি সুদূরপ্রসারী, যা কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং অগণিত প্রজাতির বেঁচে থাকা সবকিছুকে প্রভাবিত করে। এটি এমন একটি চ্যালেঞ্জ যা কোনো সীমানা জানে না এবং লড়াই করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার প্রয়োজন। এই প্রচেষ্টায় আমাদের সবার উচিত অংশগ্রহণ করা। যাতে করে একটি সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলোজি ইউনিভার্সিটির সমাজসেবা বিষয়ক ক্লাব বিইউএফটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব এবং ইউথ চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আয়োজকরা জানান, বিইউএফটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব এবং ইউথ চ্যারিটি অর্গানাইজেশন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে খাদ্য বিতরণ, শীত বস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কিংবা বন্যার সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়ে থাকে। পরপর দুই বছর বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় বৃক্ষ রোপণ অভিযান সফলভাবে শেষ করা সম্ভব হয়েছে। 

বৃক্ষ রোপণ সমাপ্তি অনুষ্ঠানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবি খানসহ ইউনিভার্সিটির সবগুলো ফ্যাকাল্টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/কেএ