জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র আবাসিক হলে থাকা বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়তে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। জবির বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ দীপিকা রাণী সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়তে বলা হয়। এ সিদ্ধান্তকে একেবারেই অযৌক্তিক বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কাগজে নিউজটা দেখেছি। আমি আশ্চর্য হয়েছি যে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে নিতে পারে। বিয়ে করলে ছাত্রীরা হলে থাকতে পারবে না এরকম সিদ্ধান্ত আমার দৃষ্টিতে একেবারেই অযৌক্তিক। এরকম সিদ্ধান্ত কীভাবে নেয়, এটা হতেই পারে না।

দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিনফিড) সম্প্রচার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে কতটুকু উন্নতি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে নতুন করে কী করা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্লিনফিড না থাকার কারণে প্রতিবছর কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বিদেশে চলে যেত৷ এখন ক্লিনফিড চালু হওয়াতে কী লাভ হয়েছে সেটি টেলিভিশনের মালিকরা বলতে পারবেন। তবে কিছু কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো আছে। 

হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি টিভির মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শন বা বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়াতে আমাদের টেলিভিশন শিল্প উপকৃত হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের দেশ থেকে যে ৫০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন চলে যেত সেটি বন্ধ হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি ও মিডিয়া শিল্পের জন্য ভালো হয়েছে। ক্লিনফিডের উপকার শুধু টেলিভিশন শিল্প পাচ্ছে তা নয়, পুরো মিডিয়া শিল্পই এর সুফল পাচ্ছে। 

মন্ত্রী বলেন, কিছু আইএসপি প্রতিষ্ঠান যারা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার... তারা কিন্তু ক্লিনফিড চালাচ্ছে না। তারা তাদের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। সেটি নিয়ে কাজ চলছে৷ আজকে এটিও একটি আলোচনার বিষয় এবং এটিও বন্ধ করতে হবে। 

এসএইচআর/কেএ