নোয়াখালী জেলা কারাগারে এক কয়েদির চোখ উপড়ে নিয়েছে আরেক কয়েদি। এ ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশন বলছে, কারাগারের মতো নিরাপত্তা বেষ্টিত জায়গায় এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারা কর্তৃপক্ষও দায় এড়াতে পারে না।

সোমবার (২ অক্টোবর) মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিমত ব্যক্ত করে কমিশন। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ অক্টোবর গণমাধ্যমে ‘কারাগারে এক কয়েদির চোখ উপড়ে নিলো আরেক কয়েদি’ সংক্রান্ত প্রচারিত সংবাদের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নোয়াখালির জেলা কারাগারের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কয়েদির নাম নুর হোসেন বাদল। ঘটনার সময় ভুক্তভোগী নুর হোসেনের চিৎকারে কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। 

বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশন বলছে, কারাগারের মতো নিরাপত্তা বেষ্টিত জায়গায় এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না।

বিষয়টি তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছে মানবাধিকার কমিশন।

জেইউ/এমজে