বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর ‍সড়কে গণপরিবহনের চাপ বাড়ছে। সকালের দিকে ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজির দাপট দেখা গেলেও এখন তা গণপরিবহনের দখলে। তবে গণপরিবহনে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।

বুধবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরা এলাকার প্রধান সড়কে এমন চিত্র দেখা যায়। যাত্রীদের গণপরিবহনের জন্যে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না বরং বাসগুলোই যাত্রীদের জন্যে অপেক্ষা করছে।

উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকার প্রধান সড়কের ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকানি ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি সকাল ৬টা থেকে দোকান নিয়ে বসেছেন। সকালে পাবলিক বাস কম ছিল। তখন সিএনজি ও প্রাইভেটকার বেশি দেখা গেছে। এখন সময় যত যাচ্ছে পাবলিক বাসের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি বলেন, অনেকে হয়তো জানেন না যে রাজধানীতে বাস চলছে। তাই তখন বাস এতো কম ছিল। দুপুরের পর এসে দেখবেন রাস্তায় জ্যাম লেগে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি। সিএনজি ও মালবাহী গাড়ির সংখ্যাও রয়েছেন। বিভিন্ন গণপরিবহনের অধিকাংশ সিটই ফাঁকা। যাত্রীরা মাস্ক পরে বসে আছেন। গত দুদিনের মতো আজ পাবলিক পরিবহনের জন্যে কাউকে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়নি।

বিমানবন্দর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট সৌরভ কুন্ড ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ সড়কে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় দূরপাল্লার বাস চলাচল করে থাকে। কিন্তু সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় এসব বাস চলাচল করছে না।

তিনি জানান, আজ সকাল থেকে গণপরিবহন চলাচল করছে। শুধু রাজধানীর মধ্যে এসব গণপরিবহন চলাচল করবে। রাজধানীর বাইরে থেকে কোনো গণপরিবহন প্রবেশ করছে না। সকালে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও এখন বাড়ছে।

গুলিস্তানগামী একজন যাত্রী জানান, গতবারের মতো এবার বেশি কড়াকড়ি না থাকায় সবাই রাস্তায় নেমে এসেছেন। সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে বিধিনিষেধ দেওয়া উচিত। অধিকাংশ অফিস খোলা রয়েছে। ব্যক্তিগত অফিসে তো কর্মীদের মতামতের মূল্যায়ন নেই। তাই সবকিছু যদি বন্ধ করা হয় তবেই রাস্তায় মানুষ নামবে না।

একে/ওএফ