স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকার সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রী তার কথা চিন্তা করে দণ্ড স্থগিত করে বাসায় থেকে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ডাক্তার ও উন্নত একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন : ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, এখানে আইনগত জটিলতা রয়েছে। সেখানে হয়ত আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সেটা আইনমন্ত্রী ভালো জানেন। সে ক্ষেত্রে আইনের বাইরে আমাদের মন্ত্রণালয় কোনো কিছু করতে পারে না।

এ বিষয়ে তারা (খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে) কোনো আবেদন করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন আসেনি। এ রকম আবেদন আসলে কী হতে পারে সেটা আপনাদের বলার চেষ্টা করেছি৷

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের আবেদন তারা প্রত্যেকবারই করেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যেকবারই তারা আবেদন করেন, আমরা যতটুকু মঞ্জুর করতে পারি, সেটুকুই আমরা মঞ্জুর করে দিচ্ছি। এরপর করতে হলে আদালতে যেতে হবে৷ আমরা আদালতের বাইরে যতখানি করতে পারি সেটুকু করছি। আমি এর থেকে আর বেশি কিছু বলতে পারব না।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে ইউনাইটেড ন্যাশনস ও বিদেশি মানুষ যারা থাকবেন তাদের যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তায় সমস্যা না হয়। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের দেশে যে বিদেশি বন্ধুরা কাজ করছেন, তারা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অবশ্যই তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ কোনো বিদেশিদের ওপর অত্যাচার করে না কিংবা কোন বিদেশিকে আক্রমণ করে না, সেটাও আমরা মনে করে দিয়েছি। কাজেই এ ধরনের আশঙ্কা তাদের করা উচিত হবে না। আমরা আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীসহ এ দেশের জনগণ তাদের সুরক্ষা দেবে, এটাই আমি স্পষ্ট বলেছি। আমাদের দেশে এমন কিছু ঘটবে না যার জন্য তাদের আতঙ্কিত হতে হবে।

নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কার কথা বলেছেন কি না এবং সংলাপ হতে পারে কি না, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, কোনো ধরনের আশঙ্কা বা কোনোকিছু তারা প্রকাশ করেনি। তাদের অনেক অফিসার এখানে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন, তাদের কোনো অসুবিধা হবে কি না, তারা সেটা জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি, প্রশ্নই আসে না। এ দেশের মানুষ সকলকেই নিজের ভাই নিজের দেশের মানুষ মনে করে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ডিউটিই হলো তাদের নিরাপত্তা দেয়া। তাই আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘকে নতুন করে কোনো আহ্বান করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের সহযোগিতা চেয়েছি, যাতে করে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী শিগগিরই চলে যায়, সেই ব্যবস্থা যেন তারা নেয়।

এসএইচআর/এসকেডি