রাজধানীতে গতকাল ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবারও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

গতকালের টানা বৃষ্টির পর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। অনেক রাস্তা তলিয়ে গিয়ে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে বিভিন্ন স্থানের পানি নেমে গেলেও নিউমার্কেট এলাকাসহ অনেক জায়গায় এখনো সড়ক ডুবে আছে পানিতে।

রাতের বৃষ্টিতে রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশ, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তা, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। 

সকাল হতে হতে অনেক সড়েকের পানি নেমে গেলেও রাজধানীর নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি, আজিমপুর, নীলক্ষেত, ঢাকা কলেজ এলাকা, বংশালসহ আরও বেশ কিছু এলাকার সড়ক এখনও জলাবদ্ধ হয়ে আছে।  

• এক রাতেই এলোমেলো সব, অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই হলেন লাশ

নিউ মার্কেটের বাইরের ফুটপাতে ব্যাগের দোকান চালান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসার দিন। কিন্তু মার্কেটের আশপাশের এলাকা এখনও জলাবদ্ধ হয়ে আছে। দোকান খোলা তো দূরের কথা হাঁটাচলাই করা যাচ্ছে না। পথচারীসহ অন্যদের পানির মধ্যে পা ডুবিয়ে চলতে হচ্ছে।

আজিমপুরের দিক থেকে আসা সিএনজি চালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে আজিমপুরে একটা ট্রিপ নিয়ে এলাম একটু আগে। এসে দেখি ওই দিকের রাস্তায় এখনও পানি জমে আছে। সিএনজি নিয়ে গেলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে। তাই যাত্রী এখানে নামিয়ে দিয়ে রিকশা ঠিক করে দিয়েছি। 

বংশাল এলাকারা বাসিন্দা রাহিদুল ইসলাম নিজের ব্যক্তিগত কাজে কাকরাইল গেছেন। তিনি বলেন, বংশালের প্রধান সড়কসহ অলিগলি এখনও পানিতে ডুবে আছে। অলিগলির ময়লা-আবর্জনা পানির সঙ্গে মিশে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বংশাল পার হওয়ার সময় প্যান্ট গুটিয়ে হাঁটু পানি মাড়িয়ে আসতে হয়েছে।  

এএসএস/এনএফ