এডিসি হারুনকাণ্ড
তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি
বরখাস্ত হওয়া এডিসি হারুন অর রশিদের নির্যাতনে আহত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে বিএসএমএমইউতে যান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১টার দিকে তিনি বিএসএমএমইউতে পৌঁছান।
বিজ্ঞাপন
নাঈমের শারীরিক খোঁজ খবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, শাহবাগ থানার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম আহত হয়েছেন। আমি মূলত তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খবর নেওয়ার জন্য আমার সহকর্মীদের নিয়ে তাকে হাসপাতালে দেখতে এসেছি। তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছি, তিনি এখনও অসুস্থ। তার আরও কয়েক দিন সময় লাগবে সুস্থ হতে।
আরও পড়ুন : ব্যক্তির দায় বাংলাদেশ পুলিশ বহন করবে না : ডিএমপি
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শেষ হওয়ার পূর্বে দুজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এডিসি হারুনকে সরকার সাময়িক বরখাস্ত করেছে। শাহবাগ থানার পরিদর্শককেও (অপারেশন) থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়সহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে দেখবে কে কে দোষী এবং প্রকৃত ঘটনা কী, কেন ঘটনাটি ঘটল। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটি আমাদের প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠাব।
আরও পড়ুন : এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে মামলা নয়, ডিএমপির ওপর আস্থা ছাত্রলীগের
ঘটনার সময় এডিসি হারুনও মারধরের শিকার হয়েছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তদন্ত কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটি তদন্ত করে সার্বিক বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে, তখন সার্বিক চিত্রটা আমাদের সামনে আসবে। আমরা প্রাথমিকভাবে দেখেছি একজন ছাত্রকে থানার ভেতরে নিয়ে মারধর করার বিষয়টি বেআইনি। সেটির ওপর ভিত্তি করে আমরা প্রাথমিক ব্যবস্থা নিয়েছি।
এমএসি/এসকেডি