আয় বাড়াতে প্রতিটি ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে লাগেজ ভ্যান
লোকসানে জর্জরিত বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় বাড়তে প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে পণ্য পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ফলে প্রতিটি ট্রেনে একটি করে লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্যও পরিবহন করা যাবে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করা হবে। সাধারণ লাগেজ ভ্যানের পাশাপাশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাগেজ ভ্যানও যুক্ত থাকবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, দেশে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান আসছে। এর মধ্যে ৭৫টি মিটারগেজ লাইনের ট্রেনে ও ৫০টি ব্রডগেজ লাইনের ট্রেনের জন্য। লাগেজ ভ্যানগুলোর মধ্যে ১০টি ব্রডগেজ ও ১৬টি মিটারগেজ রেফ্রিজারেটর থাকবে। তখন খুলনা বা কক্সবাজার থেকে মাছ ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য পরিবহন করা যাবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলের আয়ের অন্যতম খাত পণ্য পরিবহন। আর এটি করা হয় লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে। বর্তমানে রেলওয়েতে ৪১টি মিটারগেজ ও ১০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান আছে। সেগুলোর বেশির ভাগের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। ফলে পণ্য পরিবহন থেকে যথেষ্ট আয় করতে পারছে না রেলওয়ে। এখন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন করে অত্যাধুনিক ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সংযোজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এর আগে সরকার ২০১৮ সালের ২৬ জুন পণ্য পরিবহন ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে আধুনিক, নিরাপদ ও গুণগত মানসম্মত রোলিং বহরে স্টক যুক্ত করার লক্ষ্যে ৩ হাজার ৬০২ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্পের (রোলিং স্টক সংগ্রহ) অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২ হাজার ৮৩৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
সে অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের মধ্যে ওই লাগেজ ভ্যান সংগ্রহে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যদিও ২০২২ সালের জুলাই থেকে এসব লাগেজ ভ্যান বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল, তবে এখন পর্যন্ত সব লাগেজ ভ্যান দেশে আসেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সোমবারই লাগেজ ভ্যান উদ্বোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই এখনো ঠিকভাবে সব গোছানো হয়নি। আবার অনেক লাগেজ ভ্যান এখনো দেশে আসেনি। এ প্রকল্পের যিনি পরিচালক, তিনি অবসরে গেছেন। এজন্য কয়েকদিন সময় লাগবে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য।
/এমএইচএন/এসএসএইচ/