ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন বলে মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

সংস্থাটি বলছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তিগত আক্রোশকে কেন্দ্র করে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শনের মাধ্যমে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহারে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার চিত্র ফুটে উঠেছে। 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও গৃহীত ব্যবস্থা কমিশনকে অবহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে বলা হয়েছে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন আচরণ আইন ও নীতি বিরুদ্ধ উল্লেখ করে গতকাল সোমবার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গণমাধ্যমে ‘থানায় নিয়ে ওসির কক্ষে এডিসির নেতৃত্বে মারধর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ একই বিষয়ে অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। 

প্রতিবেদন মতে, রাজধানীর শাহবাগ থানার ওসির (তদন্ত) কক্ষে গত ৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাতে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের নেতৃত্ব ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধর করা হয়েছে। এমনকি আরেকজন কেন্দ্রীয় নেতা তাদের খোঁজ নিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়েছে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীরা গিয়ে থানা থেকে ওই নেতাদের উদ্ধার করেন মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তিগত আক্রোশকে কেন্দ্র করে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শনের মাধ্যমে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র ফুটে উঠেছে। 

এ অবস্থায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও গৃহীত ব্যবস্থা মানবাধিকার কমিশনকে অবহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে বলা হয়েছে।

জেইউ/এমএ