রাজধানীর শাহবাগ থানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় আহত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম উঠে বসতে পারছেন না। এমনকি ঘাড়ও নাড়াতে পারছেন না তিনি। 

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আহত নাঈমের মামা জাহাঙ্গীর আলম মাফি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন>>এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গিয়ে দেখা যায়, নাঈমকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার বিশেষ কেবিনে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক ডাক্তার ও নার্সরা তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। তার বিভিন্ন টেস্ট করে রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছেন৷ নাঈম ঘাড় নাড়াতে পারছেন না। তার কেবিনে কাউকে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না। 

নাঈমের মামা জাহাঙ্গীর আলম মাফি বলেন, নাঈমের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সে বসতে পারছে না, ঘাড়ে সমস্যা হচ্ছে। এমনকি ঘাড় নাড়াতেও পারছে না। নাঈমকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কাউকে রুমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তার দাঁত পড়ে যায়নি, কিন্তু সামনের দাঁত নড়ছে। এর মধ্যে একটি আংশিক ভেঙেছে। ডেন্টিস্টের সঙ্গে কথা বলেছি... তারা রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত বলতে পারছি না। 

আরও পড়ুন>>এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে বেধড়ক মারধর করেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার জেরে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার এবং পরে এপিবিএন-এ বদলি করা হয়। এরপর আজ (সোমবার) তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

কেএ