রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরে সমন্বিত ১২০০ বিঘার একটি রিজিওনাল পার্ক, পূর্বাচলে নির্মিতব্য ২২০ একরের গ্রিন পার্ক, ঢাকার সব অঞ্চলে জনসংখ্যার অনুপাতে যে জলাশয় আছে তার পরিমাণ বাড়াবে রাজউক। 

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে টেকসই নগর ও জনপদের জন্য সবুজায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই শহরের প্রাণ হচ্ছে পার্ক, খেলার মাঠ, জলাশয় কিন্তু এসব পাবলিক স্পেসের আয়তন দিন দিন কমছে। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় এগুলো সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন নীতিমালার করা হয়েছে। পাশপাশি নগর জীবনরেখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটনে ২০২৫ সালের মধ্যে ২ লক্ষ গাছ রোপনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিটি ভবনের ছাদে যদি একটা করে গাছ লাগানো যায় তাহলে ঢাকায় প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ গাছ রোপণ করা হবে। তাই আমাদের ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় নিজ নিজ জায়গা থেকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক এবং আইপিডির নির্বার্হী পরিচালক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকায় বড় বড় অট্টালিকা থাকলেও ঢাকা সবচেয়ে বঞ্চিত জনপদ হিসেবে চিহ্নিত। ঢাকা মহানগরীতে সবুজ উদ্যান ও খেলার মাঠ এর ঘাটতি রয়েছে। একই সঙ্গে উন্নয়নের ভুল পরিকল্পনায় ধ্বংস হচ্ছে এই শহরের বনায়ন।

তিনি বলেন, ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন ও একই সঙ্গে সবুজ করতে প্রয়োজন নাগরিকের মানসিকতার। সদিচ্ছার আর নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণে এই বিষয়টি আসতে হবে। এছাড়াও খেলার মাঠে যেন বৈষম্য না আসে সেটি জানানোর জন্য নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা হোক সবুজকে বাঁচিয়ে রেখে, সবুজের গুরুত্ব যেন ছড়িয়ে যায় সবখানে।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহা. আমিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন কর্তৃক ঢাকা উত্তর সিটিতে নিয়োগপ্রাপ্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন, মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ প্রমুখ।

এএসএস/এমএসএ