কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে অভিযানে ডিএনসিসি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অভিযানে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সোমবার (৫ এপ্রিল) বিধিনিষেধের প্রথম দিন ডিএনসিসির মহাখালী অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে গুলশান-১, ২ এবং মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে উপস্থিত সবাইকে সচেতন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে কারওয়ান বাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে কারওয়ান বাজারের প্রধান সড়ক থেকে সব অবৈধ ভাসমান দোকান অপসারণ করা হয়েছে। এসময় দুটি হোটেলের ভেতরে লোকজনকে খাবার পরিবেশনের অপরাধে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে ১৮ জনকে এক হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একটি হার্ডওয়্যারের দোকান খোলা রাখায় এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফুটপাতে মালামাল রাখার দায়ে দুইজনকে এক হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় পেঁয়াজ মজুদ করায় তা জব্দ করে চার হাজার ২০০ টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়া, মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে মিরপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় সংক্রমক ব্যাধি (প্রতিরোধ, প্রতিকার ও নির্মুল) আইন ২০১৮ এর ২৫ (১) ধারায় নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে ১৫টি মামলায় মোট ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে নিকুঞ্জ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় তিনটি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে উত্তরা সেক্টর ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ এর সোনারগাঁও জনপদ এভিনিউ, শাহ মখদুম এভিনিউ, গাউসুল আজম এভিনিউ রোডসহ বিভিন্ন রোডে বিধিনিষেধ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এসময় মাইকিং করে জনগণকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক ও সচেতন করা হয়। অভিযান চলাকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হয়। ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে মালামাল রাখায় একটি দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দক্ষিণখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট হাজী ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্সিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অঞ্চল ১০ এর ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে তিনজনকে জরিমানা করেন মোবাইল কোর্ট।
উত্তরখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট চারটি মামলায় চার হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেন।
সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভাটারা অঞ্চলের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় মোট ছয়টি মামলায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট মিরপুরের ইব্রাহিমপুরে আটটি মামলায় মোট ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এএসএস/আরএইচ