লক্ষ্মীপুর-২ আসন : ২৭ এপ্রিলের পরের ৯০ দিনে নির্বাচন
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (৪ এপ্রিল) ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার (৫ এপ্রিল) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে ইসি জানায়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী জাতীয় সংসদের ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ শূন্য আসনে আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর (১১) অনুচ্ছদের ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ১১ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৪ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি জাতীয় সংসদের ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ শূন্য আসনের নির্বাচন সংক্রান্ত ৪ মার্চের জারিকরা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইসি আরও জানায়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফ (৪) এর শর্তানুসারে দেশে করোনা সংক্রমণ দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে এ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
এ অবস্থায় জাতীয় সংসদের ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ শূন্য আসনে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না বিধায় পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা হবে। পরে এ আসনের উপনির্বাচনের সময়সূচি যথাসমযে ঘোষণা করা হবে।
নৈতিক স্থলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের পদ বাতিল করা হয়। ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। তাতে বলা হয়, নৈতিক স্থলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ বিধান অনুযায়ী তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্য নন। রায় ঘোষণার দিন গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।
এসআর/এসএম