করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাতদিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর আওতায় সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। তবে প্রথমদিন হাতিরঝিলের গণপরিবহন ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’ চলাচল করছে। এতে অবশ্য উপকার হয়েছে অনেকের ... 

রাজধানীর গুলশানের গুদারঘাট এলাকায় গিয়ে দেখে গেছে, অন্যান্য দিনের মতোই হাতিরঝিলে যাত্রী নিয়ে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করছে। ট্যাক্সিগুলো গুদারাঘাট থেকে রামপুরা ও এফডিসি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। আবার এফডিসি ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ফিরে আসছে। 

তবে যাত্রীর চাপ নেই ওয়াটার ট্যাক্সিগুলোতে। স্বাভাবিক দিনগুলোর তুলনায় আজ যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। বেশ কয়েকটি ওয়াটার ট্যাক্সিতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ জন করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। 

গুদারাঘাটের কাউন্টার ম্যানেজার শামিম আহমেদ জানান, আমরা কিছু সংখ্যক ওয়াটার ট্যাক্সি চালু রেখে যাত্রী পরিবহন করছি। এ বিষয়ে এখনো আমাদের কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি। নির্দেশনা আসলে যেকোনো সময় আমরা ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ করে দেব।

গুদারাঘাট থেকে এফডিসি ঘাটে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা যাত্রী শিহাবুল হক বলেন, কারওয়ান বাজার যেতে লিংক রোডে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সিএনজিগুলো অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছিল। এ সময় একজন রিকশা চালক জানালেন হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি চলছে।

তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অফিস খোলা থাকায় এমনিতেই ভোগান্তি বেড়েছে। আবার সিএনজি, রিকশা, ক্ষ্যাপের মোটরসাইকেল ওয়ালারা বাড়তি ভাড়া দাবি করছেন। এর মধ্যে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করায় যাত্রীদের অনেক উপকার হয়েছে।

ওয়াটার ট্যাক্সির আরেক যাত্রী বেলায়েত হোসেন বলেন, রাস্তায় কোন গণপরিবহন নেই। কিন্তু সবার অফিস খোলা রাখা হয়েছে। এই বিপদে পুরনো ভাড়ায় ওয়াটার ট্যাক্সি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। আগের মতোই গুদারাঘাট থেকে এফডিসি ঘাট পর্যন্ত ৩০ টাকা আর রামপুরা পর্যন্ত ২০ টাকার টিকিটেই চলাচল করা যাচ্ছে।

এএসএস/এমএইচএস/জেএস