গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা বেহাত, ফাঁসছেন কাস্টমসের ৪ কর্তা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউসের নিজস্ব গুদামে দিনভর অভিযান চালিয়ে ৫৫ কেজি সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। গুদাম থেকে সোনা চুরি বা বেহাতের ঘটনায় চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতেই বিমান বন্দর থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের হতে যাচ্ছে। মামলায় গুদাম ইনচার্জসহ মোট চারজনকে আসামি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য যুগ্ম-কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। এজন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আমাদের আইনি পদক্ষেপ চলমান থাকবে।
অন্য একটি সূত্র বলছে, গুদামে আনুমানিক ২০০ কেজির বেশি সোনা ছিল। যার মধ্যে ৫৫ কেজি চুরি হয়েছে এটা অনেকটা নিশ্চিত। সেটি ভিত্তি করেই মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে জমা হওয়া সোনা থেকে ওই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে সকালে ঢাকা কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা গুদাম থেকে চুরি হওয়া সোনার পরিমাণ ২০-২৫ কেজি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।
কাস্টমস হাউসের একাধিক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই জব্দ করা মালামাল গুদাম থেকে চুরি হচ্ছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টমস হাউস কাজ করছিল। শুক্রবার ও শনিবার কাস্টমস হাউজের আলাদা দুটি টিম গুদামের মালামালের তালিকা প্রস্তুত করা এবং গুদাম পরিষ্কারের কাজ শুরু করে। গতকাল (শনিবার) একটি টিম দেখতে পায় যে, বাইরে থেকে তালা অক্ষত থাকলেও ভেতরের লকার ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এরপরই সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণিত হয়। গুদামের মালামালের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। দ্রুতই চুরি হওয়া প্রকৃত মালামাল সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য বের করা সম্ভব হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। বিমানবন্দরে কাস্টমসহ বিভিন্ন এজেন্সির জব্দ করা মূল্যবান সামগ্রী জমা থাকে এই গুদামে।
আরএম/জেডএস