দ্বিতীয় ডোজের সাথে চলবে প্রথম ডোজও : স্বাস্থ্য অধিদফতর
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোববারের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নতুন করে আরও ৭ হাজার ৮৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত একদিনে এটিই দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
এ অবস্থায় শুরুতে ৫ এপ্রিল টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হলেও অধিদফতর জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের সাথে প্রথম ডোজও চলবে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান, দেশব্যাপী চলমান প্রথম ডোজের করোনা টিকা বন্ধ হচ্ছে না, এটি অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হবে।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, প্রথম ডোজ টিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার সাথে প্রথম ডোজের টিকাও দেওয়া হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা একসাথে দেওয়া হলে ঘাটতি দেখা দেবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি টিকার আরেকটি চালান শিগগিরই আসবে। পরবর্তী চালান যেন আসে সে জন্য বিভিন্ন পর্যায় থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, সে কারণে দ্বিতীয় ডোজ টিকার সাথে প্রথম ডোজ দেওয়াও চলমান থাকবে।
চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে টিকার আরেক চালান
ভারত থেকে করোনা টিকার চালান পাওয়ার আশায়ই মূলত প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহ করছে ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ভেবেছিলাম টিকায় করোনা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে দেখছি দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রভাব বেড়েছে।
টিকার চালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশা করছি এই সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের আরেকটি চালান পাব।
কী পরিমাণ ভ্যাকসিন এ সপ্তাহে আসবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও পরিমাণ নির্ধারণ হয়নি। তবে বাংলাদেশ যাতে প্রথম ডোজ দেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া অব্যাহত রাখতে পারে, সে পরিমাণ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে ভারত সরকার ও সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
এদিকে দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ৫০ জনের ওপরে মারা যাচ্ছেন। দেশে করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জনে। আর মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৬ জনে।
টিআই/এনএফ