ছবি : সংগৃহীত

শনিবার বিকেলে রাজধানীবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেটের অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কোন কোন পথ দিয়ে ওঠা-নামা করা যাবে তা জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলতে নিষেধ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা শিকদারের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার যানবাহন এবং পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন : কাওলা থেকে ফার্মগেট এখন ১০ মিনিটের ব্যাপার : ওবায়দুল কাদের

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো এবং যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠা-নামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে নিম্নবর্ণিত পথগুলো দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ওঠা-নামা করা যাবে।

ক. উত্তর থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন

ওঠার স্থান : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা, প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব।

আরও পড়ুন >> এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের দিন যেসব রাস্তা এড়িয়ে চলবেন

নামার স্থান : বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ; মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে; ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পার্শ্বে।

খ. দক্ষিণ থেকে উত্তর অভিমুখী যানবাহন

ওঠার স্থান : বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন; বনানী রেল স্টেশনের সামনে।

নামার স্থান : মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে; বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের সামনের বিমানবন্দর সড়ক; কুড়িল বিশ্বরোড এবং বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।

এমএইচএন/কেএ/এসকেডি