এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার/ ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেজ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে শনিবার। এর মধ্য দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের যুগে পা রাখবে রাজধানী ঢাকা।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রতীক্ষিত সড়কটি।

আরও পড়ুন : বিশ্বের সবচেয়ে চমকপ্রদ অবকাঠামো যখন বাংলাদেশে

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার। যদিও শুরুর দিকে ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলার কথা বলা হয়েছিল।

যদিও ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য চালু হওয়া ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ধরা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ যান চালকেরা এ নির্দেশনা মানছেন না। তারা ঘণ্টায় ১০০ হতে ১২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। উচ্চগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এ এক্সপ্রেসওয়েতে।

আরও পড়ুন : ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বসছে আইটিএস, নজরদারিতে আসবে যানবাহন

সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেজ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে ফার্মগেট প্রান্ত অংশ পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ পথের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিলোমিটার। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের র‍্যাম্প রয়েছে ১৫টি। র‍্যাম্পগুলো হচ্ছে— বিমানবন্দরে দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি এবং ফার্মগেটে একটি। ১৫টির মধ্যে ১৩টি র‍্যাম্প প্রাথমিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানান, শুরুতে আমরা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু এ পথে মানুষের যাতায়াত অভ্যস্ত করতে গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছুদিন ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে আবারও ৮০ কিলোমিটারে ফিরিয়ে আনা হবে।

আরও পড়ুন : রামপুরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২৮শ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে প্রতিটি গাড়ির সময় ব্যয় হবে মাত্র ১০-১২ মিনিট। ফলে বনানী, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণির ভয়াবহ যানজট থেকে মুক্তি মিলবে এ পথের যাত্রীদের।

এমএইচএন/এমজে/এসকেডি