স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পাশে থাকতে চায় দ. কোরিয়া
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এবং আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কোরিয়া- বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা: উন্নয়ন অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সুযোগ অনুসন্ধান'-শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত পার্ক।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। কোরিয়া বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায়। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পাশে থাকতে চায় কোরিয়া। বাংলাদেশর তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে করিয়া অনেক কাল আগে থেকে জড়িত আছে।
পার্ক বলেন, আজকের যে কোরিয়া তা কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ছাড়া হতো না। আমাদের বন্ধুদের সহযোগিতায় আমরা কোরিয়াকে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে এ জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ঋণ পরিশোধে আগ্রহী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় বাংলাদেশ। কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন জড়িয়ে আছেন। কোরিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী ৫০ বছরে এই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের জ্ঞান বিনিময়, আবিষ্কার, কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কোরিয়া ইপেএসের আওতায় বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে কর্মী নিচ্ছে। সামনের দিনে এ আওতায় আর কর্মী নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে কোরিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাসের আয়োজনে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হেয়ক জেওং, কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ডংসু কিম, বিডার মহাপরিচালক শাহ মুহম্মদ মাহবুব, এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যান হং, কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডের সেন্টার ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি রিসার্চ বিভাগের ড. জায়েহান চু ও জ্যৈষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর প্রমুখ।
এনআই/এসকেডি