দোকানের মধ্যে দোকান, দোকানের বাইরে দোকান এবং নকশাবহির্ভূত কোনো অবকাঠামো না করতে বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানিদের সতর্ক করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (২৯ অগাস্ট) করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত ঢাকা ট্রেড সেন্টার মার্কেটের ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় বরাদ্দপ্রাপ্ত ৬০২টি দোকানের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি সতর্কবার্তা দেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি সবসময় বলে থাকি, আপনারা আমাদের অংশীজন এবং আপনারা যারা বরাদ্দ পাচ্ছেন, যারা দোকানে ব্যবসা করছেন তারা আমাদের অংশীজন। আমাদের মার্কেটের অংশীজন। সুতরাং আপনাদের যে কোনো সমস্যা দেখার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু সেখানে একটাই পরিষ্কার শর্ত। সেটা হলো আমাদের আইন, আমাদের নীতিমালা পরিপালন করে আপনারা কাজ করবেন। দোকানের মধ্যে দোকান করবেন না। দোকানের বাইরে দোকান করবেন না। নকশাবহির্ভূত কোনো অবকাঠামো করবেন না। সময়সূচির যে নিয়ম আছে সেই নিয়ম পালন করবেন। তাহলে আমরা আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব এবং আপনারাও সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

এ সময় বরাদ্দপ্রাপ্তদের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুন মনে করিয়ে দিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আপনারা যথা নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করবেন। যথা নিয়মে ট্রেড লাইসেন্স করবেন। ঢাকা শহরে আটটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করার জন্য আমরা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। সে বিষয়টা আপনারা খেয়াল রাখবেন এবং রাত ৮টার পরে দোকান বন্ধ করে দেবেন।

আগে ভয় পেলেও মানুষ এখন করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগে তাদের কার্যক্রম স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচালনা করতে পারছে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, মানুষ আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আসতে ভয় পেত। এখন সে পরিস্থিতি নেই। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে আসে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম শেষ করে চলে যায়। রাজস্ব বিভাগ একসময় সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বিভাগ ছিল। এখন সবচেয়ে সৎ বিভাগ হলো, রাজস্ব বিভাগ। এর সুফল এখন আপনারা পাচ্ছেন। একসময় দোকান বরাদ্দ কমিটির নাম শুনলে মানুষ আঁতকে উঠত। ওখানে (বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়) গেলেই যাবে এক রকম, হবে আরেক রকম। কিন্তু এখন আইন অনুযায়ী যাবে আইন অনুযায়ী সেটা হবে।

করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস,সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি